দীর্ঘদিন থেকেই পঙ্গু হয়এ শয্যাশায়ী ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের পেসার চেতন সাকারিয়ার বাবা। তার উপর আবার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের বোলার। তাঁর জীবনটা একেবারেই মসৃণ নয়। সে কারণেই সম্ভবত একটা আতঙ্কে থাকেন চেতন সাকারিয়া।
তবে আইপিএল খেলার পর কিছুটা হলেও তিনি পায়ের তলার মাটি খুঁজে পেয়েছেন। তাঁকে ১.২০ কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। অসুস্থ বাবার চিকিৎসার জন্য আইপিএল থেকে প্রাপ্য টাকাই এখন কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন চেতন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে, কিছু দিন আগে আমার প্রাপ্য টাকার একটা অংশ রাজস্থান রয়্যালস দিয়েছিল। সেই টাকা আমি সোজা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এই কঠিন সময়ে ওই টাকাটা আমার বাড়ির খুবই দরকার ছিল। বাড়ির মধ্যে আমিই একা রোজগেরে। আইপিএল আমার জীবনটা বদলে দিয়েছে।’
আইপিএল শুরুর আগে নিজের ছোট ভাইকে হারিয়েছেন। আ’ত্মহ’ত্যা করেছিলেন চেতন শাকারিয়ার ছোট ভাই। তখন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চলছিল। তাঁর মা সঙ্গে সঙ্গেই এই খবর তাঁকে দেননি। যাতে চেতনের খেলায় কোনও প্রভাব না পড়ে। কিন্তু ১০দিন পর যখন ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ জানতে পারেন চেতন, তখন খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
প্রায় এক সপ্তাহ কারও সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। চেতন শাকারিয়ার বাবা ছিলেন লরি ড্রাইভার। কিন্তু তিনটি অ্যাক্সিডেন্টের পর এখন সম্পূর্ণ ভাবে শয্যাশায়ী। সংসার চালাতে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি মামার দোকানে কাজ করতেন চেতন শাকারিয়া।
চেতন আইপিএলে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর এখন অবশ্য শাকারিয়ার পরিবার বড় ছেলেকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। একটু ভাল ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে চেতনের পরিবার। তবে সেই স্বপ্নের মাঝে হঠাৎ করেই বাবার কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর যেন চেতন শাকারিয়ার কাছে নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা।